চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সরকারকে। রাকিব সরকারের স্ত্রী রয়েছে, রয়েছে সন্তানও। সেই স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়িও হয়েছে কি না জানা যায়নি। রাকিব সরকার গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের ছোট ভাই। এদিকে মাহিরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় বিয়ের পরপরই তিনি ফুটফুটে ২ সন্তানের মা বনে যান। এরমধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়ে। ছেলেটির নাম সোয়াইব ও মেয়েটির নাম সাইয়ারা। সন্তান দু’টির বাবা রাজনীতিক ও গাড়ী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিব। ২০১৬ সালের ২৫ মে জমকালো আয়োজনে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে প্রথম বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি।
চলতি বছরের ২৪ মে তাদের পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকীর আগমুহূর্তে মাহি জানান, একসঙ্গে থাকছেন না আর তারা। অন্যদিকে প্রথম স্বামী অপুও জানালেন তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। এরপর গুঞ্জন ওঠে মাহি কামরুজ্জামান সরকার রাকিব নামের এক রাজনীতিক-ব্যবসায়ীকে বিয়ে করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহির সদ্য বিবাহিত স্বামী রকিবের প্রথম সংসারের দুই সন্তান সোয়াইব ও সাইয়ারা। তবে মাহির বর্তমান স্বামী সরকার রাকিবের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর ডিভোর্স হয়েছে কিনা সেটি এখনও জানা যায়নি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মাহির শরীরের অংশ বিশেষের ছবি নিজের সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সরকার রাকিব। এমন সম্পর্কের কারণেই কি- প্রথম সংসারের দাম্পত্য জীবনের অশান্তি নেমে এসেছে কিনা এমনটাই প্রশ্ন নেটিজেনদের। একইভাবে এই সম্পর্কের জেরেই কি প্রথম স্বামী অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে কিনা?
সেই প্রশ্নও অনেকের। তথ্য পাওয়া গেছে, সরকার রাকিবের আবাস গাজীপুরে। সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে তিনি গাজীপুরেই আছেন। সঙ্গে রয়েছে তার প্রথম সংসারের দুই সন্তানও। সরকার রাকিব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি গাড়ি ব্যাবসায়ী, ‘সনি রাজ কার প্যালেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। রবিববার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ফেসবুকে নিজের বিয়ের ছবি মাহি নিজেই প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিয়ের মঞ্চে ব্যবসায়ী (বর) কামরুজ্জামান সরকার রাকিবের পাশে বসে আছেন কনে মাহি। অভিনেত্রীর কাছ থেকে কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে।
বিয়ের বিশেষ এই মুহূর্তের ছবিটি প্রকাশ করে মাহি জানান, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১২টা ৫ মিনিটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত ১১ জুন দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে মেহেদি রাঙা হাত, কপালে ছোট লাল টিপ, নাকে ছিল নাকফুল, পরনে লাল কাতান শাড়িতে নববধূর মতোই সেজেছিলেন মাহি। ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গানে, সিনেমায় এমনকি সব জায়গায় অনুভব করি, আলহামদুলিল্লাহ।’ মাহির ছবি ও ক্যাপশন দেখে তার ভক্তদের মাথা ঘুরপাক খেতে শুরু করে। কেননা সেই পোস্টটি তার বিয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে রাকিবের সঙ্গেই বিয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয় ওই ছবির কমেন্ট বক্সে। সেখানে রকিব কমেন্ট করেছিলেন, ‘কে তুমি?’ জবাবে মাহি লিখেছিলেন, ‘বউ’। পরবর্তীতে মাহির ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো আরও রোমান্টিক হয়ে ওঠে।
১৪ জুন লিখেন, ‘মিসিং ইউ।’ ১৮ জুন লিখেন, ‘আমি সারা দুনিয়া ঘুরিয়া দেখি, সুখ তো আমার ব্যালকনিতেই ছিল।’ এরপর লিখেন, ‘একজন কেউ থাকুক যে তোমাকে ছাড়বে না।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমি ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছি, আবার ১২ দিনের সম্পর্ক আজীবন টিকে যেতেও দেখেছি।’ এখানেই শেষ নয়। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে মাহি ফেসবুকে ৩ বার লেখেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ’।
আগস্ট মাসের ৬ তারিখে আবারও একইভাবে লেখেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ’। তার সেসব স্ট্যাটাসের কমেন্টবক্সে রকিবও লিখেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। ব্যক্তিজীবনে ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। মাহি লিখেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সঙ্গে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।